৩ লক্ষণ: বুঝিয়ে দিতে পারে পেটে ব্যথার উৎস গ্যাস-অম্বল, না কি ফ্যাটি লিভার

৩ লক্ষণ: বুঝিয়ে দিতে পারে পেটে ব্যথার উৎস গ্যাস-অম্বল, না কি ফ্যাটি লিভার

৩ লক্ষণ: বুঝিয়ে দিতে পারে পেটে ব্যথার উৎস গ্যাস-অম্বল, না কি ফ্যাটি লিভার
৩ লক্ষণ: বুঝিয়ে দিতে পারে পেটে ব্যথার উৎস গ্যাস-অম্বল, না কি ফ্যাটি লিভার

ফারহানা জেরিন: তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও লিভারে ফ্যাট জমতে পারে। যা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বলে পরিচিত।

উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি। এই ধরনের রোগ এখন ঘরে ঘরে। এর সঙ্গে ইদানীং আরও একটি নাম যোগ হয়েছে। সেটি হল নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। চিকিৎসকেরা বলছেন, অতিরিক্ত মদ্যপান করলে লিভারে চর্বিজাতীয় পদার্থ জমতে শুরু করে। তবে তেলমশলা যুক্ত খাবার খাওয়ার অভ্যাসেও লিভারে ফ্যাট জমতে পারে। যা নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার বলে পরিচিত। যা থেকে পরবর্তী কালে সিরোসিস অফ লিভারের মতো সমস্যাও দেখা যায়। তাই সাধারণ পেটে যন্ত্রণা, গ্যাস বা অম্বলের মতো লক্ষণকে খুব একটা অবহেলা করা উচিত হবে না। কিন্তু কী করে বুঝবেন, এই ব্যথা ফ্যাটি লিভারের কারণে হচ্ছে কি না?

সাধারণত এই ধরনের ব্যথা পেটের ডান দিকে হয়। শরীরের ভিতরে থাকা প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্ভাব্য আকার এবং ওজন রয়েছে। তার চেয়ে কম বা বেশি হয়ে গেলেই শরীরে নানা রকম সমস্যা শুরু হয়। লিভারের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তেমনই। এই অঙ্গটিতে চর্বি জমতে শুরু করলেই তা আকার এবং আয়তনে বেড়ে যায়। তখন তা পেটের আশপাশের টিস্যুর উপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে পেটে ব্যথা হয়। পেট ভার লাগে।

ফ্যাটি লিভার হলে পেটে ব্যথার তীব্রতা কেমন হয়?

সাধারণ গ্যাস, অম্বল হলে যেমন পেটব্যথা হয়, শুরুর দিকে অনেকটা তেমন ধরনের অস্বস্তি হতে পারে। কিন্তু সঠিক সময়ে ব্যবস্থা না নিলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয় যে, তা সিরোসিস অফ লিভার পর্যন্ত গড়াতে পারে।

কোন তিন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?

১) কিছু না খেয়েও যদি ঘন ঘন পেট ভার লাগে, পেটে গ্যাস হয়, পেট ফুলে থাকে, তা হলে কিন্তু সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকদের মতে ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হলে লিভারের নীচের অংশে জল জমতে থাকে। তরল জমেই পেট ফুলে ওঠে। তাই অকারণ ভুঁড়ি বাড়তে শুরু করলেও সতর্ক হোন।

২) ঘন ঘন অম্বল হচ্ছে? কিছু খেলেই বুকে জ্বালাভাব? এই লক্ষণও কিন্তু ভাল নয়। নিয়মিত এমনটা হতে থাকলে সতর্ক হোন। চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ফ্যাটি লিভারের কারণেও এমনটা হতে পারে।

৩) ফ্যাটি লিভারের কারণে শরীর থেকে টক্সিন ভাল করে বেরোতে পারে না। তাই নজর রাখুন প্রস্রাবের রং ও গন্ধের দিকে। শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী জল খাওয়ার পরেও একটানা প্রস্রাবের রং হলুদ হতে থাকলে ও অতিরিক্ত দুর্গন্ধ থাকলে ফ্যাটি লিভারের পরীক্ষা করান।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply